জেনে নিন বিদেশ ভ্রমন করার আগে কিছু জানা ও অজানা

মূল পাতা / ভ্রমণ ব্লগ / জেনে নিন বিদেশ ভ্রমন করার আগে কিছু জানা ও অজানা

জেনে নিন বিদেশ ভ্রমন করার আগে কিছু জানা ও অজানা

প্রকাশকালঃ May 26, 2022 বিভাগঃ ভ্রমণ তথ্য

জেনে নিন বিদেশ ভ্রমন করার আগে কিছু জানা ও অজানা

ভ্রমণ এর জন্য বিদেশ যাওয়া সবসময় আনন্দের। এই দূরের পথ পাড়ি দেয়ার জন্য অনেক স্বপ্ন, অনেক আশা এবং অনেক কঠোর প্রচেষ্টা থাকে। প্রথমবার বিদশ যাত্রা করার সময় যে গুরত্বপূর্ণ কথা খেয়াল করা উচিত সেটা হল সেই দেশের সংস্কৃতি,অর্থনীতি ও রাজনৈতিক বিষয়।

প্রথমবার বিদেশ যাত্রার আগে কিছু বিষয়ের উপর খেয়াল রাখা উচিত। নিয়মিত দেশের বাইরে ভ্রমণ করলে এই বিষয়গুলো আপনাতেই আপনার আয়ত্বে চলে আসবে।

 

জেনে নিন বিদেশ ভ্রমন করার আগে কিছু জানা ও অজানা

পাসপোর্ট সম্পর্কিত বিষয়

পাসপোর্টের মেয়াদ কতদিন আছে সেটা চেক করুন। তিনমাসের কম থাকলে বেশিরভাগ দেশেই ঢুকতে ঝামেলা হয়। এক এক দেশের ক্ষেত্রে একেক নিয়ম। আপনি যে দেশে যাচ্ছেন, সেই দেশের নিয়মটি জেনে নিন। ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা পাসপোর্টে এনডোর্স করে নিন। যত ডলার এনডোর্স করা থাকবে আপনি সর্বোচ্চ তত ডলার সাথে করে নিতে পারবেন। ক্রেডিট কার্ড থাকলে ডলার এন্ডোর্স ও একটিভ করে নিন।

বিদেশ ভ্রমণ এর এয়ার টিকিট

এয়ার টিকিটে পাসপোর্ট অনুযায়ী সঠিক ভাবে তথ্য দেয়া আছে কিনা ? টিকিটে আপনার যাত্রার তারিখ ও দেশে ফেরার তারিখ আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা অনুযায়ী আছে কিনা চেক করে দেখুন। টিকেট চেক করে দেখুন আপনার ব্যাগেজ এলাউন্স কত। ব্যাগেজ এলাউন্স ও নির্দিষ্ট মাপ অনুযায়ী ব্যাগেজ নিন। বাড়তি ওয়েইট না নেওয়াই ভালো।

বিমান যাত্রা

বিমানে যাত্রা করলে, প্রথমে আপনি বহির্গমন গেট দিয়ে ফ্লাইট এর সময়ের কমপক্ষে ৩ ঘন্টা আগে বিমানবন্দরে প্রবেশ করবেন। টিকেটে যাত্রার সময়, এয়ারপোর্টে উপস্থিত হওয়ার শেষ সময়, টার্মিনাল নম্বর, চেকইন কাউন্টার নম্বর ইত্যাদি চেক করে নিন।

প্রবেশের পরে সাথে সাথে মালামাল স্ক্যানিং করাবেন এবং স্ক্যানিং ট্যাগ লাগাবেন এসময় লাগেজ সতর্কতার সাথে নজরে রাখবেন। এরপর আপনি রো এরিয়াতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট উড়োজাহাজের কাউন্টারে গিয়ে টিকেট এবং পাসপোর্ট দেখিয়ে বোর্ডিং কার্ড সংগ্রহ করবেন এবং চেক-ইন লাগেজ কাউন্টারে জমা দিবেন।

এরপর আপনি বোর্ডিং কার্ড, পাসপোর্ট, ভিসা এবং পুরণকৃত ইডি কার্ড সহ যাবতীয় কাগজ হাতে নিয়ে এবং হ্যান্ড লাগেজ সহ ইমিগ্রেশনে নির্ধারিত লাইনে দাড়াবেন এবং ইমিগ্রেশন করাবেন।

আপনার পাসপোর্টে একটি বহির্গমন সিল দেয়া হবে এবং তারপর পাসপোর্ট বুঝে নিন। প্লেনে নিষিদ্ধ বস্তু কি কি, তা চেক করে নিন। নিষিদ্ধ কিছু নিয়ে প্লেনে ভ্রমণ করবেন না । প্রয়োজনীয় ওষুধ পত্র সাথে নিন।

তারপর ডিপার্চার কার্ড সংগ্রহ ও পূরণ করুন। এরপর সময় হলে উড়োজাহাজের গেট খুলে দিবে এবং আপনি আপনার বোর্ডিং কার্ডে প্রদেয় আসন নাম্বার অনুযায়ী উড়োজাহাজে আসন গ্রহন করুন।

আপনার হ্যান্ড লাগেজ মাথার উপরে লাগেজ চ্যাম্বারে রাখুন। ল্যাপটপ ব্যাগ সিটের নীচেও রাখতে পারেন। সর্বশেষে সিট বেল্ট বেধে উড়োজাহাজে বসে থাকুন। বিমান থেকে নামার আগে ডিসএম্বারকেশন কার্ড সংগ্রহ ও পূরণ করুন, এবং সিরিয়ায়ল ধরে নামুন।

 

বৈদেশিক মুদ্রা

 

অনেকেরই প্রশ্ন থাকে একজন যাত্রী সর্বোচ্চ কত ডলার পর্যন্ত সাথে করে নিয়ে যেতে পারবে? কত ডলার সাথে নিতে পারবেন এটা নির্ভর করে আপনি কোন দেশে ভ্রমণে যাচ্ছেন তার উপর। সার্কভূক্ত দেশ সমূহ ভ্রমণ এর ক্ষেত্রে আপনি বছরে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ডলার নিতে পারবেন।

সার্কের বাইরের দেশগুলোর ক্ষেত্রে বছরে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ডলার নিতে পারবেন। ১২ বছরের কম বয়সী যাত্রী একজন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীর অর্ধেক পরিমান ডলার সাথে নিতে পারবে।

বাংলাদেশে ফেরার সময় আপনি যে কোন অংকের বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে আনতে পারবেন। এনডোর্সমেন্টের বালাই নেই। তবে ৫,০০০ মার্কিন ডলার বা তার সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রার অধিক হলে নির্ধারিত FMJ ফরমে শুল্ক কর্তৃপক্ষের নিকট ঘোষণা দিন আপনার কাছে এর বেশি পরিমান টাকা আছে। এর জন্য কোনো শুল্ক প্রদান করতে হবেনা।

চিকিৎসার কাজে ডাক্তারি কাগজপত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে ১০,০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত নেয়া যাবে। তার অতিরিক্ত দরকার হলে যেকোন অথরাইজড ব্যাংককে প্রয়োজনীয় কাজগপত্র দেখালেই চলবে! প্রয়োজন সাপেক্ষে অতিরিক্ত মুদ্রার অনুমোদন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তাঁরাই নিয়ে দিবেন। শিক্ষাজনিত কাজে নেয়া যাবে ভ্রমণ কোটার সমান ডলার।

তবে  টিউশন ফি, হোস্টেল ফি এসব ব্যাংকের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পরিমাণ মুদ্রা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগেভাগেই জমা দেয়া যাবে কোটার বাইরে। ফরেইনার, এনআরবি’দের আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশি মুদ্রা সীমার শর্ত ছাড়া অন্য কোটা শর্ত খাটবেনা। যেই পরিমাণ বোইদেশিক মুদ্রা নিয়ে দেশে এসেছেন অনধিক সেই পরিমাণ মুদ্রা পাসপোর্টে এনডোর্স ছাড়াই নিয়ে যেতে পারবেন।

 

ভিসা এবং পোর্ট

 

ভিসা ভুয়া বা জাল কিনা তা চেক করে নিন, ভিসায় লেখা তথ্য ও নির্দেশনা ভালোভাবে পড়ুন। নিজে নিজে ভিসা করতে না পারলে অবশ্যই ভালো কোনো ট্রাভেল এজেন্ট এর পরামর্শ নিন।

সরকারি চাকুরীজীবি হলে GO, বেসরকারি চাকুরীজিবি হলে NOC সাথে রাখুন। ভারত ভ্রমণ এর ক্ষেত্রে বাই রোডে গেলে আপনার ভিসায় কোন পোর্ট উল্লেখ আছে সেটি দেখে নিন।

যেই পোর্ট উল্লেখ থাকবে, শুধুমাত্র সেই পোর্ট দিয়েই ভারতে প্রবেশ করতে ও বের হতে পারবেন। যে কারণেই ভারত যান না কেন, মনে রাখবেন- ভারতীয় রুপি নিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভারতে প্রবেশ বা ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরা নিষিদ্ধ।

আরো কিছু টিপ্সঃ-

ভ্রমণে বা গাড়ীতে বমি কেন হয় বমি থেকে বাঁচার উপায়

সেন্টমার্টিনে কম টাকায় হোটেল কটেজ রিসোর্ট থাকতে পারবেন

যশোর পর্যটন স্থান ও ভুমন জায়গা গুলা
Language