সেন্ট মার্টিনজুড়ে ময়লা ও আবর্জনার ভরপুর

মূল পাতা / নিউজ / সেন্ট মার্টিনজুড়ে ময়লা ও আবর্জনার ভরপুর

সেন্ট মার্টিনজুড়ে ময়লা ও আবর্জনার ভরপুর

সেন্ট মার্টিনজুড়ে ময়লা ও আবর্জনার ভরপুর

সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ । এটি বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ অবস্থিত।চট্টগ্রামের কক্সবাজার জেলা হতে 120 কিলোমিটার দূরে এই দ্বীপটি অবস্থিত। সেন্টমার্টিন ভ্রমন করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে লম্বা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

 

সেন্ট মার্টিনজুড়ে ময়লা ও আবর্জনার ভরপুর

আমাদের দেশি-বিদেশি পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন। এই দ্বীপে পর্যটক আগমনের মূল মৌসুম শেষ হয়েছে প্রায় দেড় মাস আগে। কিন্তু এখনো দ্বীপজুড়ে পড়ে আছে বিভিন্ন ধরনের ময়লা-আবর্জনা। পরিবেশের ক্ষতি ও সৌন্দর্যহানির পাশাপাশি এসব বর্জ্যের দুর্গন্ধে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের।

এই জন্য আমাদের দূত পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে পরিবেশ দূষন হবে ও এই ময়লা থেকে মশা মাছি জন্ম নিবে।ফলে মশা থেকে অসুখ হওয়ার সম্ভবনে রয়েছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দাবি, প্রতিবছর কয়েক লাখ পর্যটক সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে আসেন। পর্যটকেরা বিভিন্ন ধরনের ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন সৈকতে। তাই এই খানে আবার্জনা ফেলার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিভিন্ন রেস্তোরাঁর ময়লা-আবর্জনাও সৈকতে ফেলেন অনেক ব্যবসায়ী। এতে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় সৃষ্টি হয়েছে। এসব বর্জ্য অপসারণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সেগুলো সরাসরি সাগরে যাচ্ছে। তবে কী পরিমাণ বর্জ্য সৃষ্টি হচ্ছে, তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান কারও কাছে নেই।

রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, সৈকতজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ময়লা-আবর্জনা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ম্লান করে দিয়েছে। সৈকতের জেটি, উত্তর ও পশ্চিম পয়েন্টের বালিয়াড়িতে যত দূর চোখ যায় শুধু ময়লা-আবর্জনার স্তূপ।

পর্যটকদের কাছে একটি জনপ্রিয় স্থান সেন্ট মার্টিন। তবে এটি পরিচ্ছন্ন রাখতে পরিষদের কোনো তহবিল নেই। তারপরও আগামী পর্যটন মৌসুমের আগেই পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

অস্বাস্থ্যকর ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে অস্বস্তি বোধ করছেন পর্যটকেরা। সৈকতের প্রায় দেড়-দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কাচের বোতল, প্লাস্টিকের বোতল, চিপসের প্যাকেট, আচারের প্যাকেট, পলিথিন, ক্যান, চায়ের কাপ, স্ট্র, বিস্কুটের প্যাকেট, মাছ ধরার জালের টুকরা, নাইলনের দড়িসহ বিভিন্ন অপচনশীল বর্জ্য।

 

 

১৯৯৯ সালের ১৯ এপ্রিল সেন্ট মার্টিন, কক্সবাজার, টেকনাফ সৈকতসহ দেশের ছয়টি এলাকাকে সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়।

এ ছাড়া ছোট-বড় শতাধিক হোটেল-রেস্তোরাঁর পাশাপাশি যোগ হয় গৃহস্থালির বর্জ্যও। হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোর বর্জ্য যাচ্ছে সরাসরি সাগরে। এতে সৈকত পর্যটকদের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।

 

সেন্ট মার্টিন ঘুরতে গেলে বা থাকতে চাইলে নিচের পোস্ট দেখুন।

সেন্টমার্টিন ভ্রমণ গাইড

 

আরো নতুন নতুন টিপস পেতে সাথেই থাকুন।

Language