অপরূপ লীলাভূমি কুয়াকাটা মানুষের ভিড় জমজমাট
অপরূপ লীলাভূমি কুয়াকাটা মানুষের ভিড় জমজমাট
কেমন আছেন জানি ভালোই আছেন। ও আমাদের সাথেই আছেন। আজকে নতুন খবর নিয়ে চলে আসলাম আবারো। দীর্ঘদিন পর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত প্রাণ ফিরে পেয়েছে। ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা এখন পর্যটকের উপস্থিতিতে মুখর। ঈদের দিন বিকেল থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে।
বেশির ভাগ দর্শনার্থী বরিশাল, বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার বাসিন্দা। ঈদের দিনের বিকেলটা কাটিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন তাঁরা। ঈদের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে আসতে শুরু করেন দূরদূরান্তের মানুষ। ঈদের তৃতীয় দিন আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পর্যটকের চাপ কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।
কুয়াকাটায় দর্শনার্থীর সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। শুক্র ও শনিবার এ সংখ্যা আরও বাড়বে।
দীর্ঘদিন পর বিপুলসংখ্যক পর্যটক-দর্শনার্থীর আগমনে শুঁটকি ব্যবসায়ী, শামুক-ঝিনুকের দোকানদার, বাণিজ্যিক ফটোগ্রাফার, মোটরসাইকেল ও ভ্যানচালক, অটোরিকশাচালক, সৈকতের ছাতা-বেঞ্চ ব্যবসায়ী, চা-দোকানি, চটপটি বিক্রেতা, ট্যুর অপারেটরসহ পর্যটননির্ভর ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রাণ ফিরে এসেছে।
আজ কুয়াকাটার জাতীয় উদ্যান, লেম্বুর চর, গঙ্গামতি সৈকত, শুঁটকিপল্লি, ইলিশ পার্ক, মিশ্রিপাড়া রাখাইন বৌদ্ধমন্দির ও রাখাইন মহিলা মার্কেট এলাকায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সৈকতে স্থাপন করা ছাতা-বেঞ্চেও বসা ছিলেন অসংখ্য দর্শনার্থী। রোদের প্রখরতা থাকলেও বাতাসের বেগ থাকায় পরিবেশ ছিল সহনীয়।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, ‘কুয়াকাটা আবার জেগে উঠুক, কুয়াকাটা স্বরূপে ফিরে যাক, আমরা সে আশাই করি।’
ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ তৎপর আছে বলে জানিয়েছেন কুয়াকাটা পর্যটন পুলিশের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ। তিনি বলেন, সৈকতে হোটেল-মোটেল এলাকায় আলাদা ভাগ করে নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পর্যটন পুলিশের ছয়টি দল এ জন্য কাজ করছে।
আরো নতুন নতুন নিউজ পেতে সাথেই থাকুন।