জোড় বাংলা মসজিদ ঝিনাইদহ

মূল পাতা / দর্শনীয় স্থান / খুলনা / ঝিনাইদহ / জোড় বাংলা মসজিদ ঝিনাইদহ

জোড় বাংলা মসজিদ ঝিনাইদহ

প্রকাশকালঃ October 26, 2020

কৃতজ্ঞতায়ঃ Shantosd

জোড় বাংলা মসজিদ ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার গ্রামে অবস্থিত। ইহাকে জোড়া ডিবি মসজিদ ও বলা হয়। এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ। মসজিদটির স্থাপত্য শিল্প ও কারুকার্য মুসলিম সভ্যতা ও উৎকর্ষতার একটি অন্যতম ইতিহাস নিদর্শন বহন করে। মনে করা হয় 800 হিজরী সালে আলাউদ্দিন হোসেন শাহ এর পুত্র সুলতান মাহমুদ এই জোড় বাংলা মসজিদ নির্মাণ করেন। বহু বছর আগে থেকে স্থানে রয়েছে একজোড়া কুঁড়েঘর বা জোড়া দিঘী। যার কারণে এই মসজিদটির নামকরণ করা হয় এই নামে। স্থানীয়দের ধারণা এটি বহু বছর পুরনো মসজিদ।

মসজিদটির 11 ফুট উঁচু ভিতরে ছোট পাতলা ইটের গাঁথুনি দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। মসজিদটি বর্গাকৃতির। এটির পূর্ব পাশে তিনটি খিলানযুক্ত প্রবেশপথ, চার কোনায় আট কোন বিশিষ্ট 4 টি কারুকাজ বুরুজ আর পশ্চিম দিকের দেয়ালে রয়েছে অর্ধবৃত্তাকার পোড়ামাটির নকশাকৃত তিনটি মেহরাব। যার কারুকাজ মনকা মত সৌন্দর্য। এখান থেকে ডুমুরিয়ার সারস নগর, অভয়নগরের সুভা রাদা মসজিদ, বাগেরহাট এর বিবিকে রানী মসজিদ নির্মাণ কাজের সাথে শৈলী সাদৃশ্য মিল পাওয়া যায় অনেকটা।

জোড় বাংলা মসজিদ এর কাছে কয়েকটি কবর রয়েছে। এর উত্তর দিকে সুলতান মোহাম্মদ শায়ের শাসনামলের খননকৃত একটি দিঘী রয়েছে। এটি অন্ধ পুকুর নামে সবার কাছে পরিচিত। মূলত নামাজিদের অজু ও পানীয় জলের অভাবের পূরণের জন্য পুকুরটি খনন করা হয়েছিল। মসজিদ নির্মাণের কয়েক বছর পরেই তার জঙ্গলে ঢাকা পড়ে যায়।1992 – 93 সালে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক খননের মাধ্যমে এ মসজিদটি পুনরাবিষ্কৃত হয়। তা পরবর্তীতে বেশ কিছু অংশ সংস্কার ও পুনঃ নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে স্থানীয় মুসুল্লিরা মসজিদে এখন নিয়মিত নামায আদায় করে।

ঢাকা থেকে দূরত্ব

ঢাকা থেকে জোড় বাংলা মসজিদ দূরত্ব ২৫০ কিলোমিটার।

যাতায়াত

ঢাকা থেকে প্রথমে ঝিনাদহ যেতে হবে। ঢাকা টু ঝিনাইদহ সরাসরি বাস সার্ভিস রয়েছে। বাস গুলো হচ্ছে রয়েল সোনার তরী,  জে আর পরিবহন, হানিফ, চুয়াডাঙ্গা, দর্শনা ইত্যাদি।

ঝিনাইদহ পৌঁছানোর পর সেখান থেকে বাস অথবা সিএনজিতে করে যশোর ঝিনাইদহ – মহাসড়ক দিয়ে বারোবাজার যেতে হবে। তারপর বারোবাজার থেকে রিক্সা দিয়ে জোড়া ডিবি মসজিদে যাওয়া যায়।

যাওয়ার সময় অবশ্যই যানবাহনের ভাড়া দরদাম করে ওঠা উচিত।

যানবাহনের সময়সূচি

বাস গুলোর নাম হচ্ছে

1. রয়েল

2. সোনার তরী

3. এস বি পরিবহন

4. জে আর পরিবহন

5. চুয়াডাঙ্গা

6. হানিফ

5. দর্শনা

6. পূর্বাশা ডিলাক্স ইত্যাদি।

গাড়ি ছাড়ার স্থান- এসব গাড়ি গুলো সাধারণত ঢাকার গাবতলী বাস স্টপ থেকে নির্দিষ্ট বিরতি পরপর ছেড়ে যায়। প্রতিদিন এ বাস গুলো পাওয়া যায়।

বিশেষ খাবার

ঝিনাইদহ থেকে যখন বারোবাজারে যাওয়া হয় তখন সেখানে খেয়ে নেওয়া যাবে। বারোবাজারে রয়েছে সাধারণ মানের খাবারের দোকান গুলো। তাছাড়া ঝিনাইদহ শহরে বেশ কিছু গুলো রেস্টুরেন্টেও ক্যাফে রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে কাশফুল, কম্ভরি হোটেল, অজয় কিচেন , লিজা ফাস্টফুড , সুইট হোটেল ও রুপসী বাংলা রেস্তোরাঁ। এ রেস্তোরাঁ গুলোতে খুব ভালো মানের খাবার পাওয়া যায়।

 

হোটেল

  • হোটেল রাতুল

  • হোটেল রেডিয়েশন

  • হোটেল জামান

  • নয়ন হোটেল

  • ক্ষণিকা রেস্ট হাউস

  • হোটেল ড্রিম ইনড্রিম ইন

সাবধানতা

1. যাতায়াতে গাড়ি ভাড়া এর দরদাম করে ওঠে নেওয়া ভালো।

2. স্থানীয়দের সাথে তর্কে না জড়ানো।

3. যতটা সম্ভব অপরিচিত তাদের থেকে দূরে থাকা।

ছবি

ভিডিও

খরচ পর্যালোচনা

জোড় বাংলা মসজিদ

যাতায়াত খরচ- সাধারণত ১০০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

হোটেল খরচ 500 টাকা থেকে 1500 টাকা পর্যন্ত হয়।

প্রতিদিন খাবার খরচ সাধারণত 350 টাকা থেকে 500 টাকা পর্যন্ত।

সময়ও এবং আপনার সুবিধা ভোগের উপর এ খরচ তারতম্য হতে পারে।

টিপস এন্ড ট্রিকস

সঙ্গে খাবার পানি এবং শুকনা খাবার নেওয়া ভালো। সময় ও পর্যাপ্ত বাজেট থাকে তাহলে জোড় বাংলা মসজিদ ভ্রমণ এর পাশাপাশি জোড়া বাংলা মন্দির, অপরাজেয় বাংলা এগুলোতে ঘুরে আসতে পারেন।

উপরের তথ্য সম্পর্কে মতামত দিন, কোন তথ্য ভুল থাকলে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ।
Language