হাতিমাথা ভ্রমন খাগড়াছড়ি চট্টগ্রাম

মূল পাতা / দর্শনীয় স্থান / চট্টগ্রাম / খাগড়াছড়ি / হাতিমাথা ভ্রমন খাগড়াছড়ি চট্টগ্রাম

হাতিমাথা ভ্রমন খাগড়াছড়ি চট্টগ্রাম

প্রকাশকালঃ October 23, 2020

কৃতজ্ঞতায়ঃ Shantosd

চট্টগ্রামের সন্নিকটে খাগড়াছড়ি উপজেলার পড়াশোনা ইউনিয়নের একটি পাহাড়ি পথ কে হাতিমুড়া বলা হয়। এটি হাতিমাথা নামে পরিচিত। স্থানীয় ও অনেকের মতে এটি স্বর্গের সিঁড়ি নামে বেশি পরিচিত। হাতি মাথার দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে বসবাস করে 15 টি বেশি গ্রামের মানুষজন। তাদের যাতায়াত এই হাতে মাথার উপর দিয়েই। চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড তাদের চলাচলের সুবিধার জন্য 308 ফুট লম্বা সিঁড়ি তৈরি করে দিয়েছে।

পাহাড়টির উপরে দাঁড়িয়ে থেকে খাগড়াছড়ি শহরের পুরো সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এছাড়া মেঘের লুকোচুরি খেলা, সবুজে মোড়ানো পাহাড়ে প্রকৃতি এবং আদিবাসীদের জীবনযাত্রা এর অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। পার্টি বর্তমানে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা লাভ করতেছে। আগের চেয়ে এখন এখানে পর্যটক সমাগম বেশি হচ্ছে।

ঢাকা থেকে দূরত্ব

ঢাকা থেকে হাতিমাথা এর দূরত্ব ২৮৫ কিলোমিটার

যাতায়াত

ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি সরাসরি বাস চলাচল করে। বাস গুলো হচ্ছে শান্তি, হানিফ, এস আলম, শ্যামলী, ইকো ইত্যাদি। জনপ্রতি এ বাসের ভাড়ার পরিমাণ 530 টাকা থেকে 600 টাকা পর্যন্ত।

খাগড়াছড়ি থেকে হাতিমুড়া যেতে হলে প্রথমে খাগড়াছড়ি সদরের যেতে হবে। তারপর খাগড়াছড়ি থেকে পানছড়ি যাওয়ার সময় জামতলি যে যাত্রী ছাউনী রয়েছে তার সামনে নামতে হবে এবং বাঁদিকের রাস্তা ধরতে হবে। কিছুদূর এগিয়ে যাওয়ার পর পল্টন জয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর পাশে একটি দোকান দেখা যাবে। দোকানটির ডান পাশে দিয়ে একটি বাঁশের সাঁকো ওপার চলে গেছে। সাঁকোটি পেরিয়ে ওপার যেতে হবে।

ওপারে যাওয়ার পর সামান্য হাঁটতে হবে তারপর একটি পাড়া অতিক্রম করে একটি টিলা সামনে পড়বে। টিলাটি অতিক্রম করে কাপতলা  এলাকায় পৌঁছে যেতে হবে। কাপ তলা থেকে বের হয় ডানদিকে নিচু পথ ধরে এগিয়ে নিয়ে আবার কিছু তার ডান দিকে গেলে দেখতে পাওয়া যাবে হাতিমাথা পাহাড় টি। জামতলি যাত্রী ছাউনী থেকে হাতিমুড়া পাহাড় পর্যন্ত পৌঁছতে দেড় ঘন্টা সময় লাগে। যারা নতুন তাদের অবশ্যই গাইড নিয়ে যাওয়া ভালো।

যানবাহনের সময়সূচি

হাতিমাথা ভ্রমনের যানবাহনের নাম-

1. হানিফ

2. শান্তি

3. এস আলম

4. শ্যামলী

5. ইকো।

বিশেষ খাবার

খাবারের জন্য খাগড়াছড়ি সদরের বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় এবং শাপলা চত্বরে বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এছাড়া পানথাই পাড়ায় হয়েছে সিস্টেম রেস্তোরাঁ। সেখানে পাওয়া যায় বাঁশ কুরুল, কফি, হাঁসের কালা ভুনা এবং পাহাড়িদের বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার। তবে উনার সাথে কিছু শুকনা খাবার নিয়ে গেলে ভালো হয়।

হোটেল

  • পর্যটন মোটেল
    ০৩৭১-৬২০৮৪৮৫

  • হোটেল গাইরিং
    ০৩৭১-৬১০৪১

  • অরণ্য বিলাস
    ০১৮৩৮-৪৯৭২৫৭

  • গিরি থেবার
    ০১৮৫৯-০২৫৬৯৪

  • হোটেল ইকো ছড়ি ইন
    ০৩৭১-৬২৬২৫

সাবধানতা

1. ভ্রমণটি প্রথমবার হলে অবশ্যই গাইড নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। কেননা এতে ট্রাকিং অনেক পথ।

2. এখানে প্রায় দুই ঘন্টার ট্রাকিং রাস্তা অতিক্রম করতে হয়। যার ফলে ক্ষুধা লেগে যায়। তাই শুকনা খাবার ও পরিমাণ মতো পানি নিতে হবে।

3. স্থানীয় সহ অন্যদের অযথা বিরক্ত না করাই ভালো।

4. পরিবেশবান্ধব না এমন কোন কাজ করা যাবে না।

5. জুতা ভালো গ্রুপের হলে ভালো হয়। এতে হাঁটাচলা করে সুবিধা পাওয়া যায়।

ভিডিও

খরচ পর্যালোচনা

ঢাকা থেকে হাতি মাথা যাতায়াত খরচ যাওয়া এবং আসা সহ মোট 1400 টাকা থেকে 2000 টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

থাকা খরচ- হোটেল বিভিন্ন রকম হওয়াতে এর খরচ ও বিভিন্ন রকম হয়। এর পরিমান 1500 টাকা থেকে 4000 টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

খাবার খরচ- প্রতিবেলা খাবার খরচ সাধারণত 120- 150 টাকা হয়ে থাকে।

 

উপরের তথ্য সম্পর্কে মতামত দিন, কোন তথ্য ভুল থাকলে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ।
Language