ময়মনসিংহ শহরের ব্রহ্মপুত্র নদ তীরে প্রতিষ্ঠিত বিপিন পার্ক (Bipin Park) । বর্তমানে ময়মনসিংহ শহরে আনন্দ বিনোদনের প্রান কেন্দ্র, ঐতিয্যবাহী বিপিন পার্ক ।
এর স্থাপত্যশৈলী যেন বহন করছে শতাব্দীর সাক্ষ্য। প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন এ পার্কটি গত ৪০ বছরের ভগ্নদশা পেরিয়ে পেয়েছে নতুন আদল। ময়মনসিংহ পৌরসভার চেয়ারম্যান ডাঃ বিপিন বিহারী সেনের স্মৃতি বহন করে চলেছে যুগ যুগ ধরে।
ময়মনসিংহ শহরের জয়নুল উদ্যানের কাছেই জুবলী ঘাটে এ পার্কের অবস্থান। ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত এই পার্ক।ছায়া সুনিবিড় পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে এই পার্কটি। কংগ্রেস জুবিলি রোডে স্বল্প পরিসরে পার্কটি পুনর্নিমিত হয়েছে ‘থিমপার্ক’ হিসেবে। পার্কের মাঝখানে বসানো হয়েছে ঝরনা। সেখানে রয়েছে ৯ ফুট উঁচু তিনটি কোরাল মাছ।
এ পার্কে এলে ব্রহ্মপুত্র নদও দেখা হয়ে যাবে আপনার। পাশাপাশি নদের বুকে ভেসে বেড়ানো পালতোলা নৌকা আর নদের ওপারের চরের মানুষের জীবন-জীবিকার চিত্র মুগ্ধ করবে। ব্রহ্মপুত্রের ঝিরিঝিরি বাতাস আর নদের পাড়ের সৌন্দর্য আপনার প্রাণ জুড়াবে।
সময়ের স্রোতধারায় ঈদ বিনোদনে সব বয়সী মানুষের কাছে পার্কটি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। ঈদ আনন্দ যেন এখানে উপচে পড়ে। পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে নির্ভার আনন্দে মেতে উঠতে ঈদের দিন থেকে শুরু করে ছুটির দিনগুলোতেও এ বিনোদন কেন্দ্রে ভিড় করেন নানা বয়সীর মানুষ। নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ধ্যার পর জয়নুল উদ্যানে অবস্থান করার সুযোগ না থাকলেও এ পার্ক নিয়ে তেমন বিধি নিষেধ নেই।
ঢাকা থেকে দূরত্ব
ঢাকা থেকে বিপিন পার্ক ১১৪ কিঃমিঃ দূরত্বে অবস্থিত।
যাতায়াত
ঢাকা থেকে সড়ক পথে ময়মনসিংহে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন পরিবহনের বাস রয়েছে।মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন পরিবহনের বাসে চড়ে ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট থেকে ৩ ঘণ্টা ৩০মিনিট এর মধ্যে ময়মনসিংহে পৌঁছাতে পারবেন।
মহাখালী ছাড়াও কমলাপুর, বিআরটিসি টার্মিনাল থেকে ঢাকা-নেত্রকোনা রুটের গাড়িতেও ময়মনসিংহে আসা যেতে পারে। এছাড়া ঢাকা হতে প্রতিদিন ৭টি আন্তনগর এবং মেইল ট্রেন ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ময়মনসিংহ রেলওয়ে ষ্টেশন বা বাস টার্মিনাল থেকে রিকশা, সিএনজি কিংবা ইজিবাইকে বিপিন পার্ক যেতে পারবেন।
যানবাহনের সময়সূচি
- বাসঃ
এনা ট্রান্সপোর্টে ঢাকা থেকে যাতায়াতের জন্য লাগবে ২২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা আর সাধারন ট্রান্সপোর্টে যাতায়াতের জন্য লাগবে ১৫০ টাকা থেকে ১৮০ টাকার মতো।
- ট্রেনঃ
ঢাকা থেকে তিস্তা এক্সপ্রেস সাতটা বিশ এবং অগ্নিবীনা এক্সপ্রেস নয়টা চল্লিশ এ ময়মনসিংহ এর উদ্দেশ্যে ছাড়ে। এছাড়া মহুয়া এক্সপ্রেস, দেওয়ানগঞ্জ এক্সপ্রেস, বলাকা এক্সপ্রেস ইত্যাদি ট্রেনেও যাওয়া যায়।ট্রেনে যেতে ৮০ থেকে ১০০ টাকার মতো লাগতে পারে।
বিশেষ খাবার
- প্রেসক্লাব ক্যান্টিনের মোরগ পোলাওয়ের রয়েছে খুব পরিচিতি।
- এছাড়া শহরের ভেতর রয়েছে হাজি বিরিয়ানি সহ নানা ধরনের বিরিয়ানি।
- মুকুল ভাইয়ের চা, সিঙ্গারা আর পুরির তো তুলনায় হয় না।
- ময়মনসিংহের ঐতিয্যবাহী ধানসিঁড়ি রেস্তোঁরা।
হোটেল
-
আমির ইন্টান্যাশনাল
০১৭১১ – ১৬৭ ৯৪৮ -
হোটেল মুস্তাফিজ ইন্টারন্যাশলনাল
০১৭১৫ – ১৩৩ ৫০৭ -
হোটেল হেরা
০১৭১১ – ১৬৭ ৮৮০ -
হোটেল সিলভার ক্যাসেল
০১৭১০ – ৮৫৭ ০৫৪, ০৯১-৬৬১৫০, ০৯১-৬৬১৫১ -
হোটেল খাঁন ইন্টারন্যাশনাল
০৯১-৬৫৯৯৫
সাবধানতা
হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই গাইড ভাই প্রকাশিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল না থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন। এছাড়া আপনাদের সুবিধার জন্যে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ও নানা রকম যোগাযোগ এর মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়। এসব নাম্বারে কোনরূপ আর্থিক লেনদেনের আগে যাচাই করার অনুরোধ করা হলো। কোন আর্থিক ক্ষতি বা কোন প্রকার সমস্যা হলে তার জন্যে গাইড ভাই দায়ী থাকবে না।
খরচ পর্যালোচনা
- যাওয়া-আসার জন্য প্রায় ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা ।
- খাওয়ার জন্য প্রায় ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা ।
- এছাড়া অন্যান্য খরচ ১০০ থেকে ২০০ টাকা।
উপরের তথ্য সম্পর্কে মতামত দিন, কোন তথ্য ভুল থাকলে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ।