ঢোল সমুদ্র দীঘি, ঝিনাইদহ

মূল পাতা / দর্শনীয় স্থান / খুলনা / ঝিনাইদহ / ঢোল সমুদ্র দীঘি, ঝিনাইদহ

ঢোল সমুদ্র দীঘি, ঝিনাইদহ

প্রকাশকালঃ May 24, 2020

কৃতজ্ঞতায়ঃ মোঃ তানভির হোসেন তুফান

ঝিনাইদহে রাজা মুকুট রায় নামে এক প্রতাপশালী জমিদার ছিলেন। রাজা মুকুট রায়ের অনেক সৈন্য সামন্ত ছিল। কথিত আছে তিনি ১৬ হল্কা হাতি, ২০ হল্কা  অশ্ব  ও ২,২০০ কোড়দার না নিয়ে বের হতেন না। খাঁন জাহান আলী (রাঃ)  এর মত তিনিও জলাশয় প্রতিষ্ঠায় যত্নবান ছিলেন।

রাস্তা নির্মাণ  ও জলাশয় খনন করতে করতে তিনি  অগ্রসর হতেন। ঝিনাইদহে তাঁর এমনি একটি  অমর  কীর্তি ঐতিহ্যবাহী পাগলা কানাই ইউনিয়নের ঢোল সমুদ্র দীঘি।

প্রায় ৫২ বিঘা জমির উপর অবস্থিত এ দীঘি ঝিনাইদহের সর্ববৃহৎ দীঘি। দীঘিটি শতাব্দী পরিক্রমায় পানীয় জলের অফুরন্ত আধার হিসেবে কাজ করেছে এবং একজন পরাক্রমশালী রাজার রাজকীয় স্থাপনা সমূহের একটি স্মৃতি হিসেবে আজও টিকে আছে।

ঝিনাইদহ শহরের পূর্বে বিজয়পুর ছিল রাজা মুকুট রায়ের রাজধানী। বাড়ীবাথানে রাজার প্রকান্ড গোশালা ছিল। বহু সংখ্যক গাভী ছিল বলে লোকে তাকে বৃন্দাবনের নন্দ মহারাজবলত। বেড়বাড়ীতে রাজার উদ্যান ছিল।

রাজার কোড়াদার সৈন্যরা যেখানে বসবাস করত সে স্থানের নাম কোড়াপাড়া হয়েছে। এ সমস্ত স্থান এখনও বর্তমান। রাজা মুকুট রায়ের রাজবাটির কিছুই অবশিষ্ট নেই। তবে ঢোল সমুদ্র দীঘির দক্ষিণে ক্ষয়ে যাওয়া ইটের স্তুপে কোন ঐতিহাসিক নিদর্শন লুক্কায়িত থাকতে পারে বলে পুরাতাত্ত্বিকেরা মনে করেন।

ঢোল সমুদ্র দীঘিটি ঝিনাইদহের একটি আকর্ষণীয় বিনোদন স্থান। ঢোল সমুদ্র দীঘি খননের পেছনে একটি লোকশ্রততি আছে-রাজা মুকুট রায়ের রাজত্বকালে একবার জলকষ্ট দেখা দেয়।

ঝিনাইদহ শহরের পূর্বে বিজয়পুর ছিল রাজা মুকুট রায়ের রাজধানী। বাড়ীবাথানে রাজার প্রকান্ড গোশালা ছিল। বহু সংখ্যক গাভী ছিল বলে লোকে তাকে বৃন্দাবনের নন্দ মহারাজবলত। বেড়বাড়ীতে রাজার উদ্যান ছিল।

রাজার কোড়াদার সৈন্যরা যেখানে বসবাস করত সে স্থানের নাম কোড়াপাড়া হয়েছে। এ সমস্ত স্থান এখনও বর্তমান। রাজা মুকুট রায়ের রাজবাটির কিছুই অবশিষ্ট নেই।

তবে ঢোল সমুদ্র দীঘির দক্ষিণে ক্ষয়ে যাওয়া ইটের স্তুপে কোন ঐতিহাসিক নিদর্শন লুক্কায়িত থাকতে পারে বলে পুরাতাত্ত্বিকেরা মনে করেন। ঢোল সমুদ্র দীঘিটি ঝিনাইদহের একটি আকর্ষণীয় বিনোদন স্থান। ঢোল সমুদ্র দীঘি খননের পেছনে একটি লোকশ্রততি আছে-রাজা মুকুট রায়ের রাজত্বকালে একবার জলকষ্ট দেখা দেয়।

ঢাকা থেকে দূরত্ব

১৭২ কিলোমিটার

যাতায়াত

ঢাকার গাবতলী থেকে বাসে ঝিনাইদহ যাওয়া যায়। ঝিনাইদহের পায়রা চত্বর থেকে অটো বা ইজিবাইকে ঢোল সমুদ্র দীঘি পৌঁছাতে পারবেন।

তারপর, ঝিনাইদহ শহরের কাছে অবস্থিত। এটি ভ্যান রিক্সা, ইজিবাইক যোগে এই বিখাত ঢোল সমুদ্র দীঘি যাওয়া যায়।শহর থেকে ৪কি:মি: পশ্চিমে অবস্থিত।

যানবাহনের সময়সূচি

যেসকল বাস চলাচল করে ঃ-

  • রয়েল
  • সোনার তরী
  • এসবি
  • জেআর
  • চুয়াডাঙ্গা
  • হানিফ
  • দর্শনা বা পূর্বাশা ডিলাক্স প্রভৃতি।

বাস গুলা প্রায় সব সময় পাওয়া যায়।

বিশেষ খাবার

ঝিনাইদহ জেলা শহরের পায়রা চত্বরে ভাল মানের বেশকিছু হোটেল ও রেস্তোরা আছে।

ছবি

ভিডিও

খরচ পর্যালোচনা

২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা লাগবে  ।

উপরের তথ্য সম্পর্কে মতামত দিন, কোন তথ্য ভুল থাকলে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ।
Language