ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক নোয়াখালী
ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক নোয়াখালী জেলায় অবস্থিত। এটি ধর্মপুর গ্রামের মোট 25 একর জমিতে তৈরি করা হয়েছে। মূলত সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগের কারণে এ পার্কটি নির্মিত হয়েছে।
এখানে সকল বয়সের দর্শনার্থীরা বিনোদনের জন্য আসে। এটি নোয়াখালীর জেলার সবচেয়ে বৃহৎ বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পাশেই রয়েছে ইহা।
পার্কটিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মজার মজার রাইড। যেমন প্যাডেল বোট, হেলিকপ্টার, সোয়ান বোড, সুইং চেয়ার, কিডস ট্রেন, মেরি গো রাউন্ড, ফ্যামিলি ট্রেন, বাম্পার কার, ফেরিস হুইল ও নাগরদোলা।
তাছাড়া আরও রয়েছে সুইমিংপুল, পিকনিক স্পট, লেক ও সবুজে ঢাকা পাহাড় এবং ঝরনা। আর এখানে রয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সুতরাং এখানে কোন বিষয় নেই।
নোয়াখালী ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক সপ্তাহের সাতদিনই খোলা থাকে। প্রতিদিন সকাল 9:30 টা থেকে সন্ধ্যা 6 টা 30 মিনিট পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে। অর্থাৎ আপনি বন্ধের দিনগুলোতে পরিবার ও বন্ধু-বান্ধব নিয়ে এখানে বিনোদন উপভোগ করতে পারবেন।
পার্কে প্রবেশ করার জন্য জনপ্রতি টিকিটের মূল্য হচ্ছে 150 টাকা। এছাড়া এখানে তিন ধরনের পিকনিক প্যাকেজ পাওয়া যায়। তাছাড়া একটি ফ্যামিলি প্যাকেজ চালু আছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা
নোয়াখালী ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক লিঃ
ধর্মপুর, নোয়াখালী, ঢাকা
মোবাইল নম্বর: 01849653660
হরিণঘাটা পর্যটন কেন্দ্র, বরগনা, বরিশাল
ঢাকা থেকে দূরত্ব
ঢাকা থেকে নোয়াখালীর দূরত্ব 200 কিলোমিটার
যাতায়াত
ঢাকা থেকে নোয়াখালী সরাসরি বাস সার্ভিস রয়েছে। বাস গুলো নাম হচ্ছে একুশে এক্সপ্রেস, মূল্যায়ন এন্টারপ্রাইজ , হিমাচল এক্সপ্রেস ইত্যাদি। এ বাস গুলো সাধারণত সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রা শুরু করে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে। বাস গুলো সাধারণত রাত দশটা থেকে বারোটার মধ্যে ছেড়ে যায়। জনপ্রতি ভাড়া 500 টাকা থেকে 1000 টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
ট্রেনে করে নোয়াখালী যাওয়া যায়। এজন্য ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যেতে হবে প্রথমে। বৃহস্পতিবার বাদে বাকি সপ্তাহের ছয়দিন এখান থেকে প্রতিদিন বিকাল 4 টা 20 মিনিটে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন যাত্রা শুরু করে। ঢাকার কমলাপুর থেকে নোয়াখালী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছাতে মোট 6 ঘন্টা সময় লাগে।
তারপর নোয়াখালী সদরের পৌঁছাতে হবে। নোয়াখালী সদর হতে মাত্র 7 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পার্কটি। নোয়াখালী সদর থেকে যেকোনো অটোরিকশা বাস সিএনজি করে ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক যাওয়া যায়।
হাতিমাথা ভ্রমন খাগড়াছড়ি চট্টগ্রাম
যানবাহনের সময়সূচি
ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক যাওয়ার বাস গুলো নাম হচ্ছে
- একুশে এক্সপ্রেস,
- মূল্যায়ন এন্টারপ্রাইজ ,
- হিমাচল এক্সপ্রেস ইত্যাদি
বিশেষ খাবার
নোয়াখালী সদরে অনেক ছোট বড় মানের রেস্টুরেন্ট রয়েছে। সেখানে গিয়ে মজার মজার খাবার খেতে পারবেন। তাছাড়া পার্কের ভিতরে বেশ কিছু দোকান রয়েছে। সেখান থেকে আইসক্রিম ফুচকা চটপটি খাওয়া যায়। তবে প্রতিদিনের নিয়মিত খাবারগুলো নোয়াখালী সদরের হোটেল রেস্টুরেন্ট থেকে খেয়ে আসলে ভালো হয়।
আর সবসময় নিরাপদ খাবার পানির সঙ্গে রাখা চেষ্টা করতে হবে। আর পিকনিক হিসেবে গেলে সকালের নাস্তা নিয়ে যাওয়াই ভালো।
হোটেল
-
পূবালী হোটেল
032161257 -
হোটেল আল মোর্শেদ
032162173 -
হোটেল রাফসান
032161395 -
রয়েল হোটেল
-
সার্কিট হাউস
সাবধানতা
1. স্থানীয়দের সাথে কোন রকম বিবাদে জড়াতে যাবেন না।
2. পরিবেশবান্ধব না এমন কাজ করা যাবে না।
3. অপরিচিত কারো সাথে একা ঘোরা বা চলাফেরা করা যাবে না। যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
4. কোন কিছু খাওয়া বা কেনার আগে দরদাম করে নিন ।
5. রাইডে চড়ার সময় সতর্ক থাকবেন সাথে কোন রকম দুর্ঘটনা না ঘটে। অন্যের রাইট থেকে দূরবর্তী তে অবস্থান করবেন।
খরচ পর্যালোচনা
যাতায়াত খরচ – সর্বমোট 1500 টাকা থেকে 2000 টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
খাবার খরচ – প্রতিবেলা খাবার খরচ সাধারণত 120 টাকা থেকে 150 টাকা পর্যন্ত হয়। এছাড়া স্পটে যদি অতিরিক্ত কিছু খাবার খাওয়া হয়।
হোটেল খরচ – হোটেলের মান অনুযায়ী এ খরচ বিভিন্ন রকম হয়। সাধারণত 700 টাকা থেকে 1000 টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
তাছাড়া অন্যান্য খরচ আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী। সর্বমোট খরচ সময় সাপেক্ষে পরিবর্তনশীল। আর আপনার সুবিধার উপরও খরচ কম বেশি হতে পারে।
টিপস এন্ড ট্রিকস
1. নোয়াখালীর পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে বহন করলে ফ্যামিলি নিয়ে ঘুরে আসলে সুবিধা হয়।
2. মজার মজার রাইড গুলোতে করতে ভুলবেন না।
3.সময় থাকলে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঘুরে আসতে পারেন। এটা নতুন কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন হবে
4. সুন্দর মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দী করতে ভুলবেন না।
উপরের তথ্য সম্পর্কে মতামত দিন, কোন তথ্য ভুল থাকলে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ।