বিখ্যাত কবি মধুসূদন দত্তের বাড়ি মধুপল্লী, সাগরদাঁড়ি, যশোর
প্রকাশকালঃ May 20, 2020
কৃতজ্ঞতায়ঃ মোঃ তানভির হোসেন তুফান
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের পরবারের সাগরদাঁড়িস্থ আবাসস্থলটি ঘিরে মধুপল্লী স্থাপিত হয়েছে। ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি এ বাড়িতে মাইকেল মধুসূদন দত্ত জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর প্রপিতামহ রামকিশোর দত্ত খুলনা জেলার তালা উপজেলার গোপালপুর গ্র্রামের অধিবাসী ছিলেন। তাঁর পিতামহ রামনিধি দত্ত ছোট ভাইদের নিয়ে মামার বাড়ি সাগরদাড়িতেঁ চলে আসেন।
কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মস্থান এই সাগরদাঁড়িতে রয়েছে মধুপল্লী, তাঁর বাড়ি। যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার কপোতাক্ষ নদের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে সেই মধুপল্লী। প্রধান ফটক পেরিয়ে প্রবেশ করলে দেখা মিলবে কবির ভাস্কর্য, আর তার পরেই কবির সেই বাড়ি।
বাড়িটি এখন জাদুঘর এবং গ্রন্থাগার করা হয়েছে। প্রতিদিন শত শত দর্শণার্থী যান এই সাগরদাঁড়িতে একবার মধুসূদনের বাসভূমিকে দেখতে।
১৯৬৮ সালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ বাড়িটি সংস্কার করে এবং ১৯৯৬-২০০১ সালে এলাকাটি দেয়াল বেষ্টিত করে একটি কুটিরের আদলে গেট, একটি মঞ্চ, দুটি অভ্যর্থনা স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। এ সময় বাড়ির সমুদয় স্থাপনাকে পুনঃসংস্কার করে বর্তমান রূপ দেয়া হয়।
মধুসূদনকে ঘিরে এখানে গড়ে উঠেছে জেলা পরিষদের ডাকবাংলো, সাগরদাঁড়ি পর্যটন কেন্দ্র, মধুসূদন মিউজিয়াম। কপোতাক্ষের পাড়ে কবির স্মৃতি বিজড়িত কাঠবাদাম গাছ ও বিদায় ঘাট পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
কথিত আছে ১৮৬২ সালে কবি যখন সপরিবারে সাগরদাঁড়িতে এসেছিলেন তখন ধর্মান্তরিত হওয়ার কারণে জ্ঞাতিরা তাঁকে বাড়িতে উঠতে দেয় নি। তিনি এ কাঠবাদাম গাছের তলায় তাঁবু খাটিয়ে ১৪ দিন অবস্থান করে, বিফল মনে কপোতাক্ষের তীর ধরে হেঁটে বিদায়ঘাট হতে কলকতার উদ্দেশে বজরায় উঠেছিলেন।
১৯৬৫ সালে ২৬ অক্টোবর তদানীন্তন সরকার বাড়িটি পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে। মধুসূদনের পরিবারের ব্যবহার্য কিছু আসবাবপত্র ও অন্যান্য স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে এ বাড়িতেই প্র্রতিষ্ঠিত হয়েছে মধুসূদন জাদুঘর। স্থাপিত হয়েছে লাইব্রেরি।
ঢাকা থেকে দূরত্ব
২৩৫ কিলোমিটার
যাতায়াত
ঢাকা থেকে ঢাকা-খুলনা জাতীয় মহাসড়কে যশোর অতিক্রম করে রাজার হাট নামক স্থান হতে সাতক্ষীরা রোডে প্রায় ৩৬ কিঃমিঃ কেশবপুর উপজেলা পরিষদ ।
পরিষদ হতে কেশবপুর টু সাগরদাঁড়ী প্রায় ১৬ কি:মি: অতিক্রম করে মহাকবি মাইকেল মধুসূধন দত্তের পৈত্রিক জন্ম ভূমি।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত এবং অক্টোবর থেকে মার্চ মাস প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে। প্রতি সাপ্তাহের রবিবার এবং সকল সরকারী ছুটির দিনে মধুপল্লী সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে।
বিশেষ খাবার
যশোরের বিখ্যাত জামতলার মিষ্টি, খেজুরের গুড়ের প্যারা সন্দেশ ও ভিজা পিঠা খেয়ে দেখতে পারেন। এছাড়া সময় সুযোগ থাকলে ধর্মতলার মালাই চা এবং চুক নগরের বিখ্যাত চুই ঝাল খাবারের স্বাদও নিতে পারেন।
হোটেল
-
হোটেল সিটি প্লাজা ইন্টারন্যাশনাল
01795-477977
খরচ পর্যালোচনা
২০০০ থেকে ৩০০০ টাকা।
হোটেলে থাকলে ৬০০ থেকে শুরু করে ১২০০ টাকা রুম ভাড়া।
উপরের তথ্য সম্পর্কে মতামত দিন, কোন তথ্য ভুল থাকলে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ।