লালদীঘি নয় গম্বুজ মসজিদ রংপুর জেলার সদরপুর উপজেলা শহর থেকে মোট 10 কিলোমিটার পশ্চিমে গোপীনাথ ইউনিয়নের লালদীঘি নামক এলাকায় অবস্থিত। এটি রংপুরের একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। এটি ভারতীয় উপমহাদেশে অর্থাৎ ব্রিটিশ শাসনামলে এ মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় বাসিন্দারা মসজিদটি নির্মাণ করেন। তারপর তার ব্যবহার উপযোগী করে তোলে। মসজিদটির গায়ে অথবা দেওয়ালে কোন শিলালিপি পাওয়া যায়নি । যার ফলে এর নির্মাণকাজ সম্পর্কে তেমন বিশেষ কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে প্রত্নতাত্ত্বিক এর মতে জানা যায় যে এটি ব্রিটিশ শাসনামলে লালদীঘি নয় গম্বুজ মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। আবার মোগল যুগের অনেক স্থাপত্য-শৈলীর সাথে কিছু মিল পাওয়া যায়। যার কারণে অনেকে মনে করে থাকেন এই লালদীঘি মসজিদটি সে শাসনামলে নির্মাণ করা হয়েছিল। তাদের ধারণা 1212 সালে মসজিদটি নির্মিত হয়েছে। স্থানীয় মানুষের মধ্যে প্রচলিত আছে যে, এক রাতের মধ্যে লালদীঘি নয় গম্বুজ মসজিদ ও মসজিদের পুকুর খনন করা হয়েছিল।
লালদীঘি নয় গম্বুজ মসজিদ 1 মিটার উঁচু বেদির উপরে নির্মিত বর্গাকৃতির নয়টি গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজ গুলোর সবার উপরে রয়েছে পদ্মফুলের মত শীর চূড়া। মারলন অলংকরণ রয়েছে মসজিদটির গম্বুজের নিচের দিকে। এটিতে 4 কোন বিশিষ্ট অস্টাকৃতির কিউপোলা যুক্ত মিনার আছে। কিন্তু উত্তর-পূর্ব কোণে মিনার 4 কোন স্তর বিশিষ্ট এবং সেখান থেকে আযান দেওয়া হয়। মসজিদের পশ্চিম অংশ বাদে অন্য দিকে মোট তিনটি করে নয়টি প্রবেশপথ আছে। আর দেওয়ালের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তুলে রয়েছে তিনটি সুদৃশ্য মেহরাব।
ঢাকা থেকে দূরত্ব
ঢাকা থেকে রংপুরের দূরত্ব 340 কিলোমিটার
যাতায়াত
ঢাকা থেকে রংপুর সরাসরি বাস সার্ভিস রয়েছে। বাস গুলো গাবতলী, মহাখালী এবং মহাম্মদপুর বাস স্টপ থেকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট বিরতি দিয়ে রংপুরে উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। বাস গুলো হচ্ছে আলহামরা, মিম পরিবহন, এস আর ট্রাভেলস ইত্যাদি। এসি এবং ননএসি ভেদে বাসের ভাড়া ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। বাসের ভাড়া সাধারণত 500 টাকা থেকে 1000 টাকা পর্যন্ত হয়।
ঢাকা থেকে রংপুরে ট্রেন সার্ভিস রয়েছে। সাধারণত ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রংপুরে উদ্দেশ্যে সোমবার ছাড়া সপ্তাহের ছয়দিন ট্রেন চলাচল করে। ট্রেনের টিকেট 200 টাকা থেকে 500 টাকা পর্যন্ত হয়।
যানবাহনের সময়সূচি
বাস সার্ভিস গুলো হচ্ছে
- গ্রীন লাইন
- আলহামরা
- এম পরিবহন
- এস আর ট্রাভেলস ইত্যাদি
ট্রেনের নাম গুলো হচ্ছে
- রংপুর এক্সপ্রেস
প্রতিদিন সকাল 9 টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়।
বিশেষ খাবার
রংপুরের বিভাগীয় শহরে বিভিন্ন মানের হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট আছে। সেখানে প্রতিদিনের নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার গুলো পাওয়া যায়। সেখানে বিভিন্ন ধরনের মজার ও সুস্বাদু খাবার রয়েছে।
হোটেল
-
হোটেল নর্থ ভিউ
-
দি পার্ক হোটেল
-
হোটেল গোল্ডেন টাওয়ার
-
পর্যটন মোটেল
-
হোটেল তিলোত্তমা
সাবধানতা
গুরুত্বপূর্ণ বস্তুগুলোর স্পর্শ না করাই ভালো। যতটা সম্ভব অপরিচিতদের থেকে দূরে অবস্থান করা। কোন কিছু কেনা বা খাবারের আগে তা দরদাম করে নেওয়া।
উপরের তথ্য সম্পর্কে মতামত দিন, কোন তথ্য ভুল থাকলে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ।