রামু রাবার বাগান কক্সবাজারের 18 কিলোমিটার পূর্বে বিস্তীর্ণ সমতল ভূমি নিয়ে অবস্থান করছে। বড় ছোট অসংখ্য পাহাড় এবং সবুজে ঘেরা এ বাগানটি। চারি দিকে তাকালে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। বাগান টির অনাবিল পরিবেশ মনকে সতেজ ও তরতাজা করে তুলবে। মহাসড়কের দুই পাশে রয়েছে সারি সারি রাবার গাছ। যা দেখে মনে হবে যেন সবুজের মিছিল। এরই মাঝে শোনা যায় নানা ধরনের পাখির কলকাকলি ধ্বনি। রামু রাবার বাগান হচ্ছে কক্সবাজারে ঐতিহ্যবাহী একটি স্থান। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে পর্যটকদের মন কেড়ে নেয়। এর কারণে প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটকরা এখানে ঘুরতে আসে।
অপরূপ পরিবেশে টানে যখন ঘুরতে বের হয় তখন ঘন্টার পর ঘন্টা কখন যে পার হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল থাকেনা। প্রকৃতির কাছে সময় হেরে যায়। এখানের চা বাগান মোড় এর কাছে রাবার বাগানের মাঝখান দিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় ওঠা যায়। আর এ রাস্তাটি ইট দিয়ে নির্মিত। এ রাস্তা হাটার শেষে পাওয়া যাবে জেলার সবচেয়ে পুরাতন বিশ্রামাগার। এ বিশ্রামাগার কার রাবার বাগান রেস্ট হাউস নামে বেশি পরিচিত।
বর্তমানে এর চারপাশের সৌন্দর্য এর রূপকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। পাহাড়ে ওঠার সময় হাজার হাজার রাবার গাছ পাড়ি দিয়ে উঠতে হয়। পাহাড়ে ওঠার সময় এক অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। মনটা কেমন যেন উড়ু উড়ু করে।
বাগানের মাঝখানে একাধিক ফাকা জায়গা রয়েছে । যেখানে পরিবারও বন্ধুবান্ধব নিয়ে আড্ডা দেওয়া যায়। এখানে বনভোজনের আয়োজন করা সম্ভব। দেখা গেছে অনেকে ভ্রমণের পাশাপাশি ক্রিকেট এবং ফুটবল খেলায় মেতে উঠেছে। এখানে ভ্রমণকারীরা এসে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করে।
এছাড়া রামুতে রয়েছে অনেকগুলো বৌদ্ধ মন্দির । সময় পেলে রামুর অন্যান্য প্রাচীন নিদর্শনগুলো থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
ঢাকা থেকে দূরত্ব
ঢাকা থেকে রামু রাবার বাগানের দূরত্ব প্রায় ৩৯০ কিলোমিটার
যাতায়াত
বাগানটি যাওয়ার সময় কক্সবাজারের রামু বাইপাস নামতে হবে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার গানে সরাসরি এসি এবং ননএসি বাস রয়েছে।
এই বাসগুলো হচ্ছে সৌদিয়া, এস আলম , গ্রীনলাইন , হানিফ ইত্যাদি। জনপ্রতি এসি এবং ননএসি অনুযায়ী তারা বিভিন্ন রকম হয়। এ ভারা সাধারণত নয়শত থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
কক্সবাজার গ্রামের যেকোনো বাসে যাতায়াত করলে অবশ্যই রামু বাইপাস নামতে হবে।
এছাড়া ট্রেনে করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার যাওয়া যায়। তারপর কক্সবাজার থেকে মিনিবাস অথবা ব্যাটারিচালিত টমটম দিয়ে রামু চলে যেতে হবে।
আর বাজেট বেশি পরিমাণ হলে আকাশপথে ভ্রমণ করা যাবে।
যানবাহনের সময়সূচি
ঢাকা থেকে কক্সবাজার কামিজগুলো নাম হচ্ছে-
1. হানিফ
2. শ্যামলী
3. এস আলম
4. সৌদিয়া
5. সোহাগ পরিবহন ইত্যাদি।
বিশেষ খাবার
রামুতে এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবারের হোটেল গেস্ট হাউস গড়ে ওঠেনি। তবে সেখানে খাওয়ার কিছু ব্যবস্থা আছে। কিন্তু কক্সবাজারের থাকা-খাওয়া ভালো হবে। কক্সবাজারে অনেক হোটেল রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। ঢাকা থেকে ফোন দিয়ে আগেই হোটেলের বুকিং নেওয়া যায়।
হোটেল
-
মটেল শৈবাল
-
তারকা মানের সীগাল হোটেল
-
হোটেল সি প্যালেস
-
হোটেল সী ক্রাউন
-
হোটেল মিডিয়া ইন্টার্নেশনাল
সাবধানতা
1. বাগানের মধ্যে একা হেঁটে যাওয়া।
2. প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা।
3. গহীনে প্রবেশ না করা।
খরচ পর্যালোচনা
যাতায়াত বাবদ খরচ – ঢাকা থেকে রামু রাবার বাগান যাতায়াত খরচ 1800 টাকা থেকে 500 টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
হোটেল খরচ – 1200 টাকা থেকে 5000 টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
খাবার খরচ- প্রতিবেলা খাবার খরচ 120 থেকে 200 টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এ খরচ কম বা বেশি হতে পারে সময় অনুযায়ী। তাছাড়া অনেকটা নির্ভর করবে আপনি কি কি সুবিধা ভোগ করবেন সেটার উপর।
টিপস এন্ড ট্রিকস
1. রামুতে গেলে অবশ্যই এর প্রাচীন অন্যান্য নিদর্শনগুলো দেখে আসবেন।
2. কক্সবাজারের হোটেল গুলোতে থাকবেন।
3. যাওয়ার সময় কক্সবাজার থেকে খাওয়াই ভালো।
উপরের তথ্য সম্পর্কে মতামত দিন, কোন তথ্য ভুল থাকলে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ।