শকুনি লেক ভ্রমণ মাদারীপুর

মূল পাতা / দর্শনীয় স্থান / ঢাকা / মানিকগঞ্জ / শকুনি লেক ভ্রমণ মাদারীপুর

শকুনি লেক ভ্রমণ মাদারীপুর

প্রকাশকালঃ October 24, 2020

কৃতজ্ঞতায়ঃ Shantosd

শকুনি লেক মাদারীপুরের প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন। এটি মাদারীপুরের প্রাচীন নিদর্শন গুলোর মধ্যে একটি। লেকটি মাদারীপুর জেলা সদর থেকে একটু দূরে অবস্থিত।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা লেক মানুষের মনকে সতেজ ও প্রশান্ত করে তুলে। চারদিকে রয়েছে সবুজে ঘেরা গাছ গাছালি। কাগজ-কলমে লেকটি শকুনি লেক হিসাবে পরিচিত হলেও, স্থানীয়দের কাছে এটি মাদারীপুর লেক নামে বেশি পরিচিত।

সেনাপতির দিঘির মত লেকটি গভীর রহস্য আছে বলে অনেকে  ধারণ করে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো সেনাপতির দিঘিটি মাদারীপুরে অবস্থিত। তাই সময় পেলে ওইদিকে থেকে ঘুরে আসবেন।

ধারণা করা হচ্ছে এটি কয়েকশো বছর পুরনো লেক। কোন এক জনৈক রাজা তার প্রজারদের পানির অভাব পূরণের জন্য এ লেক খনন করেন। বর্তমানে তা মানুষের বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিণত হয়েছে।

যত বেলা গড়িয়ে চলে তথ্য লোকজনের সমাগম ঘটে এখানে। লেকের আয়তন প্রায় 20 একর জমিতে। বিকেলের মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে বন্ধুবান্ধব ও পরিবার নিয়ে অনেকে আসে ঘুরতে। তাছাড়া দেশ-বিদেশের অনেক লোক আসে এখানে। এছাড়া এখানে রয়েছে কৃত্রিম ঝর্ণা, কফি শপ, বিশ্রামের জন্য ছাউনি এবং ওয়াচ টাওয়ার।

এর কাছের দোকানগুলোতে পাওয়া যায় সুস্বাদু মিষ্টি। এ মিষ্টি শুধু মাদারীপুরের নয় পুরো বাংলাদেশে বিখ্যাত। এর পাশে আরও গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থাপনা রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে পুলিশ স্টেশন ও ডিসি অফিস। সময় পড়লে সেখান থেকেও ঘুরে আসবেন।

লেক নিয়ে কিছু লোগো কথা রয়েছে। পারলে স্থানীয়দের থেকে লোকো কথা গুলো শুনলে কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়।

ঢাকা থেকে দূরত্ব

ঢাকা থেকে মাদারীপুরের সর্বমোট দূরত্ব 195 কিলোমিটার।

যাতায়াত

ঢাকা থেকে সরাসরি মাদারীপুরের বাস চলাচল করে। এ বাস গুলো সাধারণত ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও গাবতলী বাস স্ট্যান্ড থেকে চলাচল করে। বাস গুলো হচ্ছে চন্দ্রা, সোহেল পরিবহন , সার্বিক পরিবহন ইত্যাদি।

সায়দাবাদ বাস স্ট্যান্ড থেকে নিয়মিত বিরতিতে মাদারীপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এ বাসের ভাড়া সাধারণত 250 টাকা থেকে 400 টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। ঢাকা থেকে মাদারীপুর যেতে মোট 5 ঘন্টা সময় লাগে।

এছাড়া গাবতলী থেকে যেকোনো বরিশালগামী বাসে যাওয়া যায়। তবে মোস্তফাপুর নামতে হবে। সেখান থেকে মাদারীপুর জেলার সদর যেতে হবে।

মাদারীপুর নতুন বাস স্ট্যান্ড থেকে 20 টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে শকুনি লেক এ যাওয়া যায়।

যানবাহনের সময়সূচি

বাস গুলোর নাম হচ্ছে-

১. চন্দ্রা

২. সার্বিক পরিবহন

৩. সোহেল পরিবহন

৪. গাবতলী থেকে বরিশালের যেকোন বাস। (অবশ্যই মোস্তফাপুর নামতে হবে)

যানবাহনের সময়সূচি- প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময় বিরতির পর পর বাসগুলো যাত্রা শুরু করে।

বিশেষ খাবার

সাবেক খাবারের চাহিদার জন্য হয়েছে বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট ক্যাফে। সেখানে নিয়মিত খাবার পাওয়া যায়। তাছাড়া লেকের কাছে যে দোকানগুলো রয়েছে তাতে রয়েছে ফুচকা-চটপটি এবং সুস্বাদু মিষ্টি। অবশ্যই মিষ্টি খেতে ভুলবেন না।

হোটেল

  • হোটেল সার্বিক
    01788812111

  • হোটেল মাতৃভূমি
    01708529751

  • হোটেল সৈকত
    01716501888

  • সুমন হোটেল
    01937039050

সাবধানতা

1. স্থানীয়দের সাথে বিবাদে না জড়ানো।

2. সরাসরি মাদারীপুরের বাসে যাওয়া।

3. কোন কিছু খাওয়াবা কেনার সময় অবশ্যই দাম দর করে নিতে হবে।

ছবি

ভিডিও

খরচ পর্যালোচনা

যাতায়াত খরচ – যাওয়া এবং আসা খরচ 500 টাকা থেকে 800 টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

খাবার খরচ – প্রতিবেলা খাবার এর জন্য 100 টাকা থেকে 150 টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।

থাকার খরচ – প্রতিদিনের জন্য 800 টাকা থেকে 1500 টাকা পর্যন্ত হয়।

সময় অনুযায়ী পরিবর্তনশীল। এর থেকে কম বা বেশি খরচ হতে পারে আর তা নির্ভর করবে আপনার সুবিধা ভোগের উপর।

টিপস এন্ড ট্রিকস

1. সুস্বাদু বিখ্যাত মিষ্টি গুলো খেতে ভুলবেন না।

2. পরিবার নিয়ে ঘুরে আসলে মনোরম আরো ভালো হবে।

শকুনি লেক ভ্রমণ করলে অবশ্যই সেনাপতির দিঘী থেকে ঘুরে আসবেন।

উপরের তথ্য সম্পর্কে মতামত দিন, কোন তথ্য ভুল থাকলে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ।
Language