সুন্দরবন – ম্যানগ্রোভ বনভূমি

মূল পাতা / দর্শনীয় স্থান / খুলনা / বাগেরহাট / সুন্দরবন – ম্যানগ্রোভ বনভূমি

সুন্দরবন – ম্যানগ্রোভ বনভূমি

প্রকাশকালঃ November 27, 2019

কৃতজ্ঞতায়ঃ মহিদুল ইসলাম মুক্ত

সুন্দরবন – ম্যানগ্রোভ বনভূমি

সুন্দরবন হলো বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশস্ত বনভূমি যা বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়াবলীর অন্যতম। গঙ্গা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীত্রয়ের অববাহিকার বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত.

এই অপরূপ বনভূমি বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দুই জেলা উত্তর চব্বিশ পরগনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জুড়ে বিস্তৃত। সুন্দরবন ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।

ঐতিহাসিকগণ মনে করেন প্রায় দুই হাজার বছর পূর্বে গাঙ্গেয় বদ্বীপ এলাকায় সুন্দরবনের সৃষ্টি হয়।‘নিকোলাস পাইমেন্টা’ নামীয় একজন মিশনারীর ভ্রমণ কাহিনীতেও সুন্দরবনের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়। বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বাহারি গাছপালা, বন্য পশুপাখি ও জীবজন্তু ঘেরা গা ছমছম পরিবেশে সুন্দরবন ভ্রমণ খুব রোমাঞ্চকর।

মোট বনভূমির ৩১.১ শতাংশ, অর্থাৎ ১,৮৭৪ বর্গকিলোমিটার জুড়ে রয়েছে নদীনালা, খাঁড়ি, বিল মিলিয়ে জলাকীর্ণ অঞ্চল। বনভূমিটি, স্বনামে বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও নানান ধরনের পাখি, চিত্রা হরিণ, কুমির ও সাপসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত।

জরিপ মোতাবেক ১০৬ বাঘ ও ১০০০০০ থেকে ১৫০০০০ চিত্রা হরিণ রয়েছে এখন সুন্দরবন এলাকায়। ১৯৯২ সালের ২১শে মে সুন্দরবন রামসার স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। সুন্দরবনে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক ঘুরতে আসে। দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটক সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দার্যে মুগ্ধ।

 

জ্বীনের মসজিদ, লক্ষীপুর, চট্রগ্রাম

 

ঢাকা থেকে দূরত্ব

২৪২ কিলোমিটার

যাতায়াত

ঢাকা থেকে সুন্দরবনে যাওয়ার বেশ কিছু পথ আছে। সেটা নির্ভর করবে আপনার বাজেট ও দিনযাপনের ওপর। আমাদের মতো যেতে হলে, ঢাকা থেকে প্লেন, ট্রেন বা বাসে করে খুলনা যেতে হবে।

সেখান থেকে মোংলা বন্দরে এবং ওখান থেকে নৌপথে যাওয়ার জন্য জাহাজ, লঞ্চ, ট্রলার নিতে হবে। তবে খুলনা যাওয়ার আগেই কোনো ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস এজেন্সিতে বুকিং দিয়ে রাখা ভালো। এতে করে সেখানে গিয়ে কোন ঝামেলা পোহাতে হয় না।

যানবাহনের সময়সূচি

ঢাকা টু খুলনা নন এসি বাস

সোহাগ পরিবহন, সেবা গ্রীন লাইন, ফালগুনী পরিবহন, এ কে ট্রাভেলস,সুন্দরবন ক্লাসিক পরিবহন,র্পযটক পরিবহন, মোহনা পরিবহন, বেপারী পরিবহন, টুঙ্গি পাড়া এক্সপ্রেস, গ্রীন লাইন পরিবহন,কনক পরিবহন, বনফুল ট্রান্সপোর্ট প্রাঃ লিঃ এর নন এসি বাস ৬৫০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে যায়।

ঢাকা টু খুলনা এসি বাস

সোহাগ পরিবহন, গ্রীন লাইন পরিবহন, ফালগুনি পরিবহন, টুঙ্গি পাড়া এক্সপ্রেস বাসগুলো ১৩০০ থেকে ৫৫০ টাকার মধ্যে যায়।

ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের সময়সুচি

  • সুন্দরবন এক্সপ্রেস(৭২৬) সকাল ০৮ঃ১৫ ছাড়বে,  বিকাল ৫ঃ৪০ পৌছাবে। বুধবার বন্ধ।
  • চিত্রা এক্সপ্রেস(৭৬৪) সন্ধ্যা ৭ঃ০০ ছাড়বে,  রাত ৩ঃ৪০ পৌছাবে। সোমবার বন্ধ।

ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের ভাড়ার তালিকা

  • শোভন – ৩৯০ টাকা
  • শোভন চেয়ার – ৪৬৫ টাকা
  • প্রথম আসন – ৬২০ টাকা
  • প্রথম বার্থ – ৯৩০ টাকা
  • স্নিগ্ধা – ৮৯১ টাকা
  • এসি – ১০৭০ টাকা
  • এসি বার্থ ১৫৯৯ টাকা

বিশেষ খাবার

  • আব্বাসের হোটেলের খাসির মাংস – খুলনা থেকে সাতক্ষীরা যাওয়ার পথে হাইওয়ের পাশেই চুকনগর প্রতি পিস গোসের দাম ৭০ টাকা
  • গরুর দুধের সরের চা – খুলনা নিউ মার্কেটের পাশে প্রাক্তন ঝিনুক হলের পাশে
  • মান্নানের চটপটি ও ফালুদা – খুলনার শহীদ হাদিস পার্কের বিপরীতে শঙ্খ মার্কেটের পাশেই

হোটেল

  • হোটেল সালাউদ্দিন- দর্শনা রেল বাজার চুয়াডাঙ্গা

  • হোটেল অবসর - দর্শনা রেল বাজার চুয়াডাঙ্গা
    ০৭৬১৬২৪০৫

  • খান আবাসিক হোটেল - খান সুপার মার্কেট জীবননগর চুয়াডাঙ্গা
    ০১৭১৮৬৬১৫১৩

সাবধানতা

বনের বেশী গভীরে যাওয়া নিরাপদ নয়। জোয়ার ভাটায় সময় দেখে যেতে হবে।

ছবি

ভিডিও

খরচ পর্যালোচনা

ঢাকা থেকে যাওয়া আসা ১৫০০ টাকা, খাওয়াদাওয়া ১০০০ টাকা, অন্যান্য ৫০০ টাকা, সব মিলিয়ে ৩০০০ টাকা মতো পড়বে।

আপনি কিভাবে যাবেন কি খাবেন তার উপর খরচ কম বেশী হবে।

টিপস এন্ড ট্রিকস

খুলনার পানি খাওয়া অনেকের জন্য কষ্টকর তাই পানি কিনে খেতে পারেন। সুন্দরবন দেখে ফিরে আসার সময় সন্ধার রুপসা ব্রিজ ঘুরে দেখে আসতে পারেন।

উপরের তথ্য সম্পর্কে মতামত দিন, কোন তথ্য ভুল থাকলে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ।
Language