Top 5 Beautiful Travel Places in Bangladesh

মূল পাতা / ভ্রমণ ব্লগ / Top 5 Beautiful Travel Places in Bangladesh

Top 5 Beautiful Travel Places in Bangladesh

প্রকাশকালঃ April 20, 2022 বিভাগঃ ভ্রমণ অভিজ্ঞতা ভ্রমণ তথ্য

Top 5 Beautiful Travel Places in Bangladesh

 

 

আজকে আপনাদের সামনে নতুন আরেটি কন্টেন্ট নিয়ে চলে আসলাম। চলুন শুরু করি বাংলাদেশের সেরা ১০টি সুন্দর ভ্রমোনার স্থান জেনে নিব আজকে ।

১ । সেন্টমার্টিন ভ্রমণ গাইড

সংক্ষেপ আলোচনাঃ-

সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ । এটি বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ অবস্থিত।চট্টগ্রামের কক্সবাজার জেলা হতে 120 কিলোমিটার দূরে এই দ্বীপটি অবস্থিত। সেন্টমার্টিন ভ্রমন করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে লম্বা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

সেন্টমার্টিন সর্বমোট 17 বর্গকিলোমিটার নিয়ে বিস্তৃত। স্থানীয় ভাষায় একে বলা হয় নারিকেল জিঞ্জিরা।অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বাংলাদেশের প্রথম পাঁচটি ভ্রমণ স্থানের মধ্যে জায়গা দখল করে নিয়েছে। অসীম নীল আকাশ জলের মিতালী ঢেউ সারি সারি নারিকেল গাছ এগুলো পর্যটক মানুষ কে ঘায়েল করে ফেলেছে।শুধু বাংলাদেশ থেকে নয় বিভিন্ন দেশ থেকেও এ জায়গাটি ভ্রমণ করতে আসে বিদেশীরা।এখানে সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য টি উপভোগ করতে পারবেন।

বিস্তারিত জান্তেঃ-  সেন্টমার্টিন ভ্রমণ গাইড এই লিংক ভিজিট করুন 

২ । মেঘের দেশ সাজেক ভ্যালি, রাঙ্গামাটি

সংক্ষেপ আলোচনাঃ-

সাজেকে সর্বত্র মেঘ , এটিকে বলা যায় মেঘের রাজ্য। আপনি যদি সেখানে যান, তাহলে আপনার মনে হবে, আপনি মেঘের উপরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আপনি হয়তো বসে আছেন, কিন্তু আপনার পায়ের নীচে খেলা করছে মেঘেরা।

পাহাড় আর সবুজের দারুণ মিতালী চোখে পড়ে । রূপসী বাংলা বর্ণনাতীত রূপের একটি ঝলকের নাম সাজেক ভ্যালী। আপনার যদি কখনো মেঘের দেশে ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছা হয়, তাহলে আপনি যেতে পারেন এই সাজেক ভ্যালিতে। ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত সাজেক ভ্যালি ।

এখানে তিনটি হেলিপ্যাড বিদ্যমান ; যা থেকে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের অপূর্ব দৃশ্য প্রত্যক্ষ করা যায় । সাজেকে একটা ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা হচ্ছে এখানে ২৪ ঘণ্টায় প্রকৃতির তিনটা রূপই দেখা মিলে । কখনো খুবই গরম , একটু পরেই হটাৎ বৃষ্টি এবং তার কিছু পরেই হয়তো চারদিকে ঢেকে যায় মেঘের চাদরে ; মনে হয় যেন একটা মেঘের উপত্যকা ।

বিস্তারিত জানতেঃ- মেঘের দেশ সাজেক ভ্যালি, রাঙ্গামাটি এই লিংকে যান 

৩ ।সুন্দরবন – ম্যানগ্রোভ বনভূমি

সংক্ষেপ আলোচনাঃ-

সুন্দরবন হলো বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশস্ত বনভূমি যা বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়াবলীর অন্যতম। গঙ্গা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীত্রয়ের অববাহিকার বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত.

এই অপরূপ বনভূমি বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দুই জেলা উত্তর চব্বিশ পরগনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জুড়ে বিস্তৃত। সুন্দরবন ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।

ঐতিহাসিকগণ মনে করেন প্রায় দুই হাজার বছর পূর্বে গাঙ্গেয় বদ্বীপ এলাকায় সুন্দরবনের সৃষ্টি হয়।‘নিকোলাস পাইমেন্টা’ নামীয় একজন মিশনারীর ভ্রমণ কাহিনীতেও সুন্দরবনের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়। বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বাহারি গাছপালা, বন্য পশুপাখি ও জীবজন্তু ঘেরা গা ছমছম পরিবেশে সুন্দরবন ভ্রমণ খুব রোমাঞ্চকর।

মোট বনভূমির ৩১.১ শতাংশ, অর্থাৎ ১,৮৭৪ বর্গকিলোমিটার জুড়ে রয়েছে নদীনালা, খাঁড়ি, বিল মিলিয়ে জলাকীর্ণ অঞ্চল। বনভূমিটি, স্বনামে বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও নানান ধরনের পাখি, চিত্রা হরিণ, কুমির ও সাপসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত।

জরিপ মোতাবেক ১০৬ বাঘ ও ১০০০০০ থেকে ১৫০০০০ চিত্রা হরিণ রয়েছে এখন সুন্দরবন এলাকায়। ১৯৯২ সালের ২১শে মে সুন্দরবন রামসার স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। সুন্দরবনে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক ঘুরতে আসে। দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটক সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দার্যে মুগ্ধ।

 

বিস্তারিত জানতেঃ- সুন্দরবন – ম্যানগ্রোভ বনভূমি এই লিংকে যান

 

৪ ।কুয়াকাটা, পটুয়াখালী

সংক্ষেপ আলোচনাঃ-

কুয়াকাটা। বাংলাদেশের দক্ষিণে অবস্থিত সমুদ্র সৈকত। অপূর্ব সুন্দরের এক লীলাভূমি। ভ্রমণ পিয়াসীদের তীর্থস্থান বলা হয় কুয়াকাটাকে। দেশ বিদেশের লাখো পর্যটক ভিড় জমান এই কুয়াকাটায়, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার নেশায়।

বিস্তারিত জানতেঃ- কুয়াকাটা, পটুয়াখালী এই লিংকে যান

৫ । প্রকৃতি কন্যা জাফলং, সিলেট

সংক্ষেপ আলোচনাঃ- 

প্রকৃতি কন্যা হিসাবে পরিচিত সিলেটের জাফলং। প্রকৃতি কন্যা জাফলং ছাড়াও বিউটি স্পট, পিকনিকস্পট, সৌন্দর্যের রাণী- এসব নামেও পর্যটকদের কাছে ব্যাপক পরিচিত। বাংলাদেশের সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় জাফলং অবস্থিত। এর অপর পাশে ভারতের ডাওকি অঞ্চল। ডাওকি অঞ্চলের পাহাড় থেকে ডাওকি নদী এই জাফলং দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। মূলত পিয়াইন নদীর অববাহিকায় জাফলং অবস্থিত। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক ভীর করে এই নদীর তীরে। মনরোম পাথবের উপরদিয়ে ভেসে যাওয়া পানির স্রোত ভ্রমন পিয়াসুদের মনে জাগায় অনাবিল আনন্দ।

বর্ষাকালে ভারতীয় সীমান্তবর্তী শিলং মালভূমির পাহাড়গুলোতে বড় বড় গণ্ডশিলাও বয়ে আনে। পাথর গুলা আসে প্রবল বৃষ্টিপাত কারনে ঐসব পাহাড় থেকে ডাওকি নদী স্রোতে। একারণে সিলেট এলাকার জাফলং-এর নদীতে প্রচুর পরিমাণে পাথর পাওয়া যায়। এলাকার মানুষের এক বৃহৎ অংশের জীবিকা এই পাথর উত্তোলন ও তা প্রক্রিয়াজাতকরণকে ঘিরে গড়ে উঠেছে।

ইতিহাসবিদের মতে বহু হাজার বছর ধরে জাফলং ছিল খাসিয়া জৈন্তা-রাজার অধীনে থাকা এক নির্জন বনভূমি। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে জমিদারী প্রথার বিলুপ্তির পর অনেক দিন এই বিস্তির্ন এলাকা পতিতও পড়েছিলো।
জাফলং এ দাড়িয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের বড় বড় পাহাড় গুলোর সন্দর্য উপভোগ করা যায় একসাথে। পাশেই রয়েছে উপজাতিদের বাসস্থান আর মনরোম ঝরনা। স্বচ্ছ পানির নিচে পাথরের আস্তরন আপনার ভালো লাগবেই। পানি ছোটাছুড়ির সাথে সাথে তুলে নিতে পারেন এই আনন্দঘন মুহুর্তের কিছু ছবি।

 

বিস্তারিত জানতেঃ- প্রকৃতি কন্যা জাফলং, সিলেট এই লিংকে যান

 

আরো নতুন নতুন টিপস পেতে সাথেই থাকুন। ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

Language