সিকিম ডাইরী – বরফের শহরে ৪ দিন [ প্রথম অংশ ]

মূল পাতা / ভ্রমণ ব্লগ / সিকিম ডাইরী – বরফের শহরে ৪ দিন [ প্রথম অংশ ]

সিকিম ডাইরী – বরফের শহরে ৪ দিন [ প্রথম অংশ ]

প্রকাশকালঃ April 27, 2020 বিভাগঃ বিদেশ ভ্রমণ

পাহাড় সমুদ্র তো দেখা হলো এইবার ইচ্ছে সাদা বরফ আর তুষারপাত দেখবো। কিন্তু সমস্যা বাধলো দেশে তো সেটা সম্ভব না। তাই কুলকিনারা না দেখে পাশের দেশ ভারত ই সঠিক। কম খরচে সুইজারল্যান্ড এর স্বাদ নিয়ে আসা যাক।

কয়েকজন বন্ধুকে বললাম এর মধ্যে কয়েকজন রাজীও হলো শেষ পর্যন্ত বন্ধু আবির আর আমি ফাইনাল। পাসপোর্ট আগেই করা ছিলো দুদিন গেলো ইডিয়া ভিসা সেন্টারে ছুটতেই। অনেক ঝামেলার পর আবেদন করার ৭ দিন পরে মিললো ভিসা। ভিসা সেন্টার থেকে পাসপোর্ট ফেরত নেওয়ার সময় দুজনের মনেই অনেক ভয় ভিসা পাবো তো! যমুনা ফিউচার পার্কের ভিসা সেন্টারের লম্ব লাইন পেরিয়ে এক সময় হাতে এলো পাসপোর্ট। পাসপোর্টের পাতা উল্টাতেই খুশিতে মন ভরে গেলো দুজনের। আমাদের ভিসা হয়ে গেছে।

Mukto and abir at indian visa center

ভিসা তো হলো কিন্তু যে সব বন্ধুরা সাথে যেতে চেয়েছিলো তারা অনেকেই যাচ্ছে না। আমি আর আবির মিলে আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কাউকে না পেলে দুজনই চলে যাবো কিন্তু ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে যাবো না।

এর পিছনে দুইটি কারণ ছিলো

  • আমাদের নিজেদের ইচ্ছে মতো ঘুরতে চাই
  • আর হিসেব করে যা বুঝলাম নিজেরা গেলে খরচ একটু কমবে।

এখন সমস্যা হলো সাথে কে যাবে। ফেসবুকে বিভিন্ন ট্রাভেল গ্রুপে পোষ্ট করলাম আমাদের মতো অভাগা কারা আছেন একসাথে যাই। এর থেকে পরিচয় হলো রাজু ভাইয়ের সাথে। তার সাথে ছিলো জাকির ভাই আর সুমন ভাই। মোট ৫ জন হয়ে গেলাম। এবার আর চিন্তা নেই। একসাথে রওনা দেওয়া যাবে। ট্রাভেল ট্যাক্স আর ঢাকা থেকে চ্যাংড়াবান্ধার বাসের টিকিট কাটার ঝামেলা সেরে ফেললো রাজু ভাই।

২৩ তারিখ রাতে  বাসে আমরা রওনা দিব। এদিকে সিকিমের প্রচন্ড শীত সম্পর্কে আমরা আগেই অবগত। শীতের সব ধরনের পোশাক কিনে ফেললাম। ভারি জ্যাকেট, টুপি , মোজা, দরকারি ঔষুধ কিছুই বাকি নেই। আমরা একদম প্রস্তত যাওয়ার জন্য।

যাত্রা শুরু

২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম আমি আর আবির। ঢাকা থেকে যোগ দিলো রাজু ভাই , জাকির ভাই আর সুমন ভাই।

 

শ্যামলি বাস ছাড়লো রাত সারে আটটার দিকে। রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম মাঝে মাঝে ৩০ মিনিট ১ ঘন্টার জন্য গাড়ি পুরোপুরি বন্ধ, শুধু চিন্তা করছিলাম মোটামুটি ৯ টার দিকে চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশানে পৌছাতে পারবো কিনা। ইমিগ্রেশান শেষ করে আবার যেতে হবে শিলিগুড়ি ওখানে থেক রাত ১০ টার মধ্যে গ্যাংটকে ঢুকতে হবে। না হলে সেদিন আর গ্যাংটকে থাকার পার্মিশান পাওয়া সম্ভব না।

ইমিগ্রেশান

অবশেষে সকাল ৯ টার দিকেই আমরা পৌছালাম চ্যংড়াবান্ধা বর্ডারে। ইমিগ্রেশান দ্রুত শেষ করে শিলিগুরির জন্য কার রিজার্ভ করা হলো। এর ফাঁকে আমাদের ডলার ও টাকা বেশীরভাগ অংশ রুপিতে এক্সচেঞ্জ করে নিলাম। ১০০ টাকার জন্য ৮০ রুপি আর ডলার প্রতি ৭২ রুপি মিললো।

দ্রুত ছুটে চললাম শিলিগুরির উদ্দেশ্যে। শিলিগুড়ি গিয়ে সিকিমের জন্য পার্মিশান নিতে হবে।

চলবে…

Language