যাদুকাটা নদী, সোনামগঞ্জ

মূল পাতা / দর্শনীয় স্থান / সিলেট / সুনামগঞ্জ / যাদুকাটা নদী, সোনামগঞ্জ

যাদুকাটা নদী, সোনামগঞ্জ

প্রকাশকালঃ June 1, 2020

কৃতজ্ঞতায়ঃ মোঃ তানভির হোসেন তুফান

ভারতের মেঘালয় থেকে উৎপন্ন হয়ে যাদুকাটা নদীটি তাহিরপুর উপজেলার উত্তর পূর্ব প্রান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

নদীটি বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় ৫ কিলোমিটার ভেতরে উপজেলার ফাজিলপুরে নামক স্থানে নাম নিয়েছে রক্তি।

এখানেই নদীটি বৌলাই নদীর সঙ্গে মিলিত হয়। বৈচিত্রময় মনোহর রুপের কারণে পাহাড়ী নদী যাদুকাটাকে দেশের অন্যতম সৌন্দর্য্যরে নদী হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

ঢাকা থেকে দূরত্ব

২৭৫ কিলোমিটার

যাতায়াত

যাদুকাটা নদী দেখতে যেতে হলে প্রথমে সুনামগঞ্জ আসতে হবে। প্রতিদিন ঢাকার সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে মামুন ও শ্যামলী পরিবহণের বাস সরাসরি সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এবং মহাখালী থেকে ছেড়ে যায় এনা পরিবহণের বাস। এসব বাসে এন-এসিতে জনপ্রতি টিকেট কাটতে ৫৫০ টাকা লাগে আর সুনামগঞ্জ পৌঁছাতে প্রায় ছয় ঘন্টা সময় লাগে।

তারপর সুনামগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি কিংবা মোটরসাইকেল ভাড়া করে চলে যান লাউড়ের গড় হয়ে যাদুকাটা নদী দেখতে। মোটরসাইকেল ভাড়া নিবে ২০০-২৫০ টাকার মত। এক মোটরসাইকেলে দুইজন উঠা যাবে। যাদুকাটা নদীর সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য দেখতে বারিক্কা টিলায় উঠে পড়ুন। যা দেখবেন আপনার চোখ জুড়িয়ে যাবে।

বিশেষ খাবার

যাদুকাটা নদী দেখতে আসা পর্যটকরা সাধারণত এখানে অবস্থান করেন না তাই এখানে খাবার ও আবাসন ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি।

ভিডিও

খরচ পর্যালোচনা

২০০০ থেকে ৩০০০ টাকা

টিপস এন্ড ট্রিকস

দিনে দিনে ঘুরে আসতে চাইলে সকাল সকাল রওনা দিবেন। যাদুকাটা নদীর কাছেই শিমুল বাগান ও নিলাদ্রী লেক, সময় নিয়ে ঘুরে আসুন। থাকতে চাইলে বড়ছড়া চলে যাবেন। বাংলাদেশ বর্ডার অতিক্রম করবেন না। নদী থেকে পাথর ও বালি উত্তোলনের ফলে অনেক গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়, পানিতে নামলে সাবধান থাকবেন। শুকনো কালে নদীতে হাটু পানি থাকে। কিন্তু বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে অনেক স্রোত থাকে। স্থানীয় মানুষদের সাথে ভালো আচরণ করুন। ভাড়ার ক্ষেত্রে দরদাম করুন ভালো মতো। খরচ কমাতে চাইলে অফ সিজনে ভ্রমণ করুন। পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন।

উপরের তথ্য সম্পর্কে মতামত দিন, কোন তথ্য ভুল থাকলে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য অগ্রিম ধন্যবাদ।
Language